তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
‘ক্রীড়াই শক্তি, ক্রীড়াই বল’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুবক্কর সিদ্দিকী।
তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এটিএম মোস্তফা, ফারুক উদ্দিন আহমেদ, রুহুল আমিন ভুঁইয়া, তাড়াইল থানার তদন্ত ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল মিয়া প্রমুখ। এছাড়াও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির ভাষার মাস, প্রথমেই আমি ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কলেজটি উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। ১৯৯২ সালের পূর্বে তাড়াইল উপজেলায় উচ্চ শিক্ষার জন্য কোনো কলেজ ছিল না। সহিলাটি গ্রামবাসী কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ৫ একর ভূমি দানের মধ্য দিয়ে তাড়াইলের কতিপয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ কলেজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসেন, তাদের মধ্যে অন্যতম মরহুম ইসরাত উদ্দিন আহমেদ বাবুল। কয়েকজন শিক্ষক ও অল্প কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে কলেজটি ১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করে সময়ের ধারাবাহিকতায় ছাত্রী-ছাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং ২০১২ সালে কলেজটি ডিগ্রী কলেজে উন্নীত হয়। ২০১৮ সালে কলেজটি জাতীয়করণ হয়। বর্তমানে কলেজটি একটি সমৃদ্ধ কলেজ। যেখানে রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য ও বিএমটি শাখা এবং ডিগ্রী পর্যায়ে বিএ, বিএসএস, বিবিএস কোর্স চালু রয়েছে। বর্তমানে কলেজে মোট শিক্ষার্থী প্রায় ৩ হাজার। ইতোমধ্যেই আমি অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ভবনের জন্য চাহিদা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমার খুব ইচ্ছে কলেজটিকে অর্নাস কলেজে উন্নীত করা। আমার বাড়ি এই গ্রামে, আমার আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। আপনাদের সকলের সহযোগিতা থাকলে কলেজটির শিক্ষার গুণগতমান ও অন্যান্য সমস্ত কিছু উন্নতি করা সম্ভব এবং কলেজটি জেলার মধ্যে অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তোলাও সম্ভব।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পড়া-লেখার পাশাপাশি খেলাধুলা একটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমে শরীর ও মন ভালো থাকে। সেজন্য সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। খেলার বিভিন্ন ইভেন্টে যারা অংশ গ্রহণ করবে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুবক্কর সিদ্দিকী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।